[কারন]=জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান কারণগুলি হল নিম্নরূপ-
(১) (ভৌগোলিক সুরক্ষা)-এশিয়া মহাদেশের এমন একটা জায়গায় ভারতের অবস্থান যা তাকে মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দেশে পরিণত করেছে। তাই বিভিন্ন দেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব জোট নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের ভারত কে প্রভাবিত করেছে।
(২) (জাতীয় ঐক্য রক্ষা)-ভারতবর্ষের জোট নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের পাশ্চাত্যে ভারতের জাতীয় ঐক্য রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। কেননা সুপ্রাচীনকাল থেকে ভারত অহিংসা ,শান্তি , সহমর্মিতা ও সহনশীলতার আদর্শে বিশ্বাসী ছিল। এই সুমহান আদর্শ ও জাতীয় ঐক্য রক্ষার জন্য ভারত নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করে।
(৩) (আর্থসামাজিক উন্নতি)-১৯৪৭সালে লাভের ঠিক পরের মুহূর্ত থেকে ভারত এক গভীর তর আর্থসামাজিক সংকটের মুখে পড়ে। ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাহলাল নেহেরু আর্থিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে ভারতের আর্থিক উন্নতি ঘটাতে সচেষ্ট হন।
(৪) (আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি)-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক পরস্পর দুই বিরোধী গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফলে বিশ্ব যখন ঠান্ডা লড়াই এর আবহাওয়া মত্ত্ব, তখন ভারতবর্ষ কোন জোটে যোগ না দিয়ে নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করে।
(৫)(তৃতীয় শক্তি জোট)-যে সমস্ত আদেশ ঠান্ডা লড়াই এর বাইরে থাকতে চেয়েছিল তাদের আয়তন ,জনসংখ্যা প্রভৃতি বিষয়ে ভারতের কাছে ছিল খুব নগণ্য ।তাই ভারত নিজের উদ্দেশ্যে একটি তৃতীয় শক্তি জোট গঠন করে।
[নীতি]=জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান প্রধান নীতি গুলি হল- (১)-বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
(২)-ছোট-বড় সমস্ত জাতি ও বর্ণের মধ্যে সমান অধিকার স্বীকার করা।
(৩)-বর্ণ বৈষম্য সমাজবাদী আন্দোলনকে প্রতিহত করা।
(৪)-বিভিন্ন দেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে সমর্থন করা।
No comments:
Post a Comment