পরিচালন ব্যবস্থা- নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল একটি অবৈতনিক আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি সরকারি অনুদানে চলত। দেশ বিদেশের বহু ছাএ এখানে পড়তে আসতো কিন্তু এখানে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া হতো। তার ফলে এখানে ভর্তি হওয়া খুব একটা সহজ ছিল না। এছাড়াও ভর্তি হওয়ার পর একাদিক্রমে সাত আট বছর ধরে পোড়াশোনা করতে হতো।
পঠন পাঠন- নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট 15টি বিষয়ে পড়ানো হতো। বিষয় গুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বেদ, বৌদ্ধ দর্শন, ব্যাকরণ, আয়ুর্বেদ, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা,অঙ্ক, ইতিহাস।তবে সব বিষয়েই ছাএদের পড়ানো হতো। ছাএদের পড়ানোর জন্য প্রায় 1500 শিক্ষক থাকতো। এদের মধ্যে অন্যতম ছিল আযভট্র,শীলভদ্র প্রমুখ পন্ডিত। এছাড়াও রত্নরঞ্জক, রত্নদধি, রত্নসাগর এই তিন ভাগে বিভক্ত একটি বিশাল লাইব্রেরি ছিল।
ধ্বংস- পাল আমলে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় তার হারানো গৌরব ফিরে পায়।পাল রাজা দেবপালের প্রয়াসে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃত চচার প্রধান কেন্দ্রে পরিনত হয়েছিল। কিন্তু 1993 সালে তুকি সেনাপতি বখতিয়ার খিলজী বিহারে হামলা চালায় এবং খিলজী বাহীনি এখানকার সৌধের সঙ্গে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়। এই ভাবে প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতন ঘটে।
অবশেষে বলা যায় যে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে ছিল তা ছিল এক কথায় বিস্ময়কর। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংস প্রাপ্ত আজও ইতিহাসের নীরব সাক্ষী রূপে দা৺ড়িয়ে রয়েছে।